ফরহাদ আমিন: নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু শূন্যরেখায় থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, বুধবারের ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গোলাগুলির শুরু। কিছুতেই থামছে না। শূন্যরেখার আশপাশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকের মধ্যে আছেন।

তুমব্রুর বাজারের দোকানদার নির্মল ধর বলেন, গত বুধবার থেকে সীমান্তে থেমে গোলাগুলি ও আগুন খেলা চলছে। শনিবার ভোরেও গোলাগুলির শব্দ শুনেছি, দেখা গেছে আগুনের ধোঁয়া। 

শূন্যরেখায় তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশে এখন নতুন করে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে রোহিঙ্গারা। যার কারণে স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গোলাগুলি-আগুনের ঘটনায় যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ঢুকেছিল, তারাও এপারে আসতে চেষ্টা করছে। 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, হঠাৎ করে শুক্রবার রাতে গোলাগুলি আবার শুরু হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। 

নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, গত বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শূন্যরেখায় গোলাগুলি হয়। ওই দিন হামিদ উল্লাহ (২৭) নামের একজন মারা যান। শিশুসহ দুজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত বুধবার গোলাগুলির পর ওই দিন বিকেলের দিকে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে আগুন লাগানো হলে সাড়ে পাঁচ শতাধিক বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাণ রক্ষায় অনেক রোহিঙ্গা কাঁটাতারের বেড়ার ভেতরে এবং আরো কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশের তমব্রু স্কুলে আশ্রয় নেন। ওই শিবিরে ৬২১টি বসতঘরে ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গার বসবাস ছিলো। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান, সালেহ্ বিপ্লব